নেত্রকোনা সদরের ৯ নং চল্লিশা ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ঝাউশী গ্রামে মদ,গাঁজা,নারী, এমনকি শিরিক এর মতো জঘন্য পাপ কোন বাধা ছাড়াই করে যাচ্ছে একটি গোষ্ঠী।
গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়…..
এই গ্রামে সরাসরি গাঁজা বেচা কেনা হয়। কিন্তু এদের প্রতিহত করার মতো কেউ নেই। তাই এদের বিস্তার দিন দিন এলাকায় বেড়েই চলেছে। এলাকার যুবসমাজের এখনি সময় ওদের চিরতরে উচ্ছেদ করার। আমরা যদি এখনি এদের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াই তাহলে আগামী প্রজন্ম অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে। এলাকার সকলের উচিত এদেরকে মোকাবিলা করার। এলাকার গাঁজা ব্যাবসায়িদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আর তাদের দৌরাত্ম্য অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছে। আমার এলাকায় আজ আমার ভাই,আমার ভাতিজারা নিরাপদ নয়। ইসলামের স্বার্থে একটা সুন্দর পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে তার উপর হামলা করা হয়! অথচ আমরা সবাই মুসলমান। মদ,গাঁজা, এবং বাহারি রকমের নেশায় আসক্ত মানুষগুলো তাদের নেশাকে সহজলভ্য করার জন্য তারা তথাকথিত নামধারী মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে প্রকৃত ইসলাম পালনকারীদের সাথে দাঙ্গা বাজাচ্ছে। মদ,গাঁজা, নারী ব্যবসা এবং রমরমা মাজার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাদের স্বার্থের জন্য ইসলামকে বিকৃত করছে এবং ইসলাম কে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আর আমরাও তা অবলীলায় মেনে নিচ্ছি, আমরাও মাথায় গোবর নিয়ে তাদের সাথে হহহ হহহ করছি।আবার আমরা দাবী করি, আমরা মুসলমান, যেখানে আমাদের ধর্মকে অবমাননা করা হচ্ছে, মুসলমান হয়ে ইসলামের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করছে তাদের কে আবার আমরা সায় দিয়ে হাতে তালি দিয়ে প্রমোট করছি। গাঁজা ব্যবসায়ীরা তাদের গাঁজা ব্যবসার সুবিধার জন্য এই মাজার কে রাজধানীতে পরিনত করেছে। আর যারা গাঁজা সেবন করছে তারা ভিআইপি প্রটোকলে সেখানে গাঁজা সেবন করে যাচ্ছে ।
তাই আসুন সবাই মিলে এসব ভন্ডদেরকে প্রতিহত করি, একটা আদর্শ গ্রাম উপহার দেই , আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এসব অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আর ইসলামকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।তাই সকলে মিলে ইসলাম রক্ষায় বীরদর্পে অংশগ্রহণ করি।